আমরা কেন যত্ন নিই

তিনি আমাদের প্রথমে মহব্বত করেছিলেন বলেই আমরা মহব্বত করি। - ১ ইউহোন্না ৪:১৯

জীবনের কোন না কোন সময়, আমরা সবাই সমস্যার সম্মুখিন হয়েছিলাম। আমরা হারিয়ে গিয়েছিলাম। এবং তখন কেউ না কেউ আমাদের কাছে এসে আমাদের কথা শুনেছিল। তারা আমাদের প্রতি ভালবাসা দেখিয়েছিল। জীবনদায়ী ভালবাসা।

যে ব্যক্তিটি আমাদের পাশে হাঁটছিলেন, তাঁর কথা শোনার মধ্য দিয়ে আমরা একটা বিষয় শিখতে পেরেছি। আমরা শিখেছি যে ভালবাসার একটি চেহারা (আদল) রয়েছে আর সেটি হল যীশু খ্রীষ্টের।

আমরা এখনও নানা সমস্যার সম্মুখিন হই, কিন্তু আমরা অফুরন্ত ভালবাসা পেয়েছি যা আমাদেরকে সীমাহীন আনন্দ দান করে।আমরা আপনাকে এই ভালবাসা আবিষ্কার করতে সাহায্য করতে চাই।

যে সময়ে আমরা আরও কিছু পাওয়ার আশা করছি, জীবনের উদ্দেশ্য, নিজের পরিচয় অথবা ভালবাসার খোঁজ করছি, সেই সময়ে ঈশ্বর আমাদেরকে তাঁর ‘প্রিয় পুত্র’ ‘স্নেহের কন্যা’ ডাকার আকাঙ্ক্ষা করছেন।

ঈশ্বর আমাদের অফুরন্ত জীবন উপভোগ করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। কোন বাধা-বিপত্তি ছাড়া, তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে জানার জন্য সৃষ্টি করেছেন। আনন্দ, উদ্দেশ্য ও অর্থ নিয়ে প্রতিটি দিন বেঁচে থাকার জন্য সৃষ্টি করেছেন।

কিন্তু আমরা তাতে সন্তুষ্ট হইনি। আমাদের অন্তর অহংকারে ভরে গিয়েছিল আর আমরা তাঁর কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলাম। আমাদের নিজেদের ঠিক করা পথ বেছে নিয়ে আমরা পাপ করেছিলাম। আর এভাবেই মৃত্যু, যন্ত্রণা, মন্দতা ও একাকীত্ব এই পৃথিবীতে প্রবেশ করল।

আমরা স্বীকার করতে চাই না কিন্তু আমরা এই কাজটি প্রতিদিনই করি। আমরা নিজেদেরকে প্রাধান্য দিই। যে নিঃস্বার্থ ভালবাসা দেখানোর জন্য আমাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছিল, সেই ভালবাসার পরিবর্তে আমরা আমাদের স্বার্থপরতাকে বেছে নিই।

একটা বিদ্রোহী পছন্দের কারণে ঈশ্বরের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়।

এই বিদ্রোহের পরও, ঈশ্বর আমাদেরকে এত ভালবাসলেন যে তিনি তাঁর একমাত্র পুত্র, যীশুকে পাঠালেন, যেন আমরা যে মৃত্যুর যোগ্য ছিলাম, সেই মৃত্যু তিনি বরণ করতে পারেন। তিনি নিখুঁত ছিলেন, কিন্তু ক্রুশের উপর তিনি একজন আসামীর মত করে মৃত্যুবরণ করেছিলেন; আমাদের পাপের মূল্য দেয়ার জন্য এবং ঈশ্বরের সঙ্গে সেই ভেঙ্গে যাওয়া সম্পর্ককে পুনরুদ্ধার করার জন্য।

ঈশ্বর যীশুকে তিন দিন পর মৃত্যু থেকে জীবিত করেছিলেন। ঠিক যেমনভাবে তিনি গৌরবের সঙ্গে সেই অনন্ত জীবনে প্রবেশ করলেন, তেমনভাবে তিনি আমাদেরকেও সেই জীবনে পা রাখার আমন্ত্রণ জানান।

তাঁর উপর এবং আমাদের জন্য তিনি যে কাজ করেছেন, সেই কাজের উপর যারা বিশ্বাস করে, তাদেরকে সকলকে তিনি পরিপূর্ণ, সত্য ও অফুরন্ত জীবন দান করেন। আর এই জীবন হল একটি বিনামূল্যে পাওয়া উপহার কিন্তু এর জন্য আমাদের অহংকারকে বিসর্জন দিতে হবে। আমরা তখনই উদ্ধার পাব যখন আমরা উদ্ধারের জন্য নিজের উপর নির্ভর না করে, যীশুর উপর নির্ভর করব, যে তিনি আমাদের জন্য সব কিছু যুগিয়ে দেবেন: সকল আনন্দ, সংগ্রাম, আমাদের সকল ভুল-ত্রুটি, এবং আমাদের ভবিষ্যতও।

আজকে থেকে যীশুর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের মাধ্যমে আপনি সত্যিকারের উদ্দেশ্য আবিষ্কার করতে পারবেন। আপনাকে শুধু জিজ্ঞেস করতে হবে! কীভাবে করবেন না জানলে, নিচের প্রার্থনাটি করতে পারেন:

“ঈশ্বর দীর্ঘ দিন যাবৎ আমি আমার মত করে জীবন যাপন করেছি। আমি বিশ্বাস করেছি যে যীশু আমাকে মুক্ত করার জন্য মৃত্যুবরণ করেছিলেন—আমার স্বার্থপরতার জন্য। আমার পাপকে ক্ষমা কর। ধন্যবাদ দিই যে যীশু শুধুমাত্র মৃত্যুবরণই করেননি। তুমি তাঁকে জীবিত করেছ। তোমার সঙ্গে একটি নতুন জীবনের এই বিনামূল্য উপহারটি আমি গ্রহণ করি। আমার জীবন এখন তোমার। তোমার পথে চলতে আমাকে সাহায্য কর। আমেন।”

উপরের অঙ্গিকারটি নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না বা এই বিষয়ে কারো সঙ্গে কথা বলতে চান কি না তা অনুগ্রহ করে আমাদের জানাবেন। নিচে আপনার আসল নাম (বা অন্য কোন নাম) এবং ই-মেইল ঠিকানা লিখুন এবং খুব শীঘ্রই আমাদের একজন পরামর্শদাতা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।

আমাদের পরামর্শদাতারা কাউন্সিলর নন। ওনারা সাধারণ খ্রীষ্টান যারা সংবেদনশীল ও সম্মানজনকভাবে অন্যদর সঙ্গে তাদের আত্মিক যাত্রায় যোগ দিতে ইচ্ছুক। সকল কথোপকথন বিনামূল্য ও গোপন রাখা হবে।

আমার আরও প্রশ্ন আছে