সংকটে থাকা একজন মানুষকে সাহায্য করার উপায়

প্রথমে জরুরি শারীরিক প্রয়োজনগুলো পূরণ করুন (যেমন খাবার, পানি, আশ্রয়, এবং চিকিৎসা সেবা দেওয়া)। এরপর সেই ব্যক্তি তার মানসিক আঘাত সম্পর্কে কথা বলতে প্রস্তুত হতে পারেন। নিচে আমরা কিছু উদাহরণ দিচ্ছি কীভাবে কাউকে সংকটের মানসিক প্রভাব মোকাবিলা করতে সাহায্য করা যায়।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো ব্যক্তিকে সুযোগ দেওয়া যেন সে খোলাখুলি নিজের গল্প বলতে পারে—বাধা না দিয়ে বা অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন না করে।

আঘাতের কথা বলার সময় ব্যক্তি বারবার একই কথা বলতে চাইতে পারে। ধৈর্য ধরুন, যত্ন নিন এবং সহানুভূতিশীল শ্রোতা হয়ে থাকুন।

সম্মান, সহমর্মিতা ও সহানুভূতি প্রকাশ করুন। তাদের শান্ত রাখুন। নিজের ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশ না করার চেষ্টা করুন, বিশেষত যদি আপনি বিস্মিত বা ভীত হন।

আপনি যে তথ্য পাচ্ছেন তার প্রতি আপনার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন থাকুন। সময় নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং প্রয়োজন হলে কথোপকথনের মাঝে বিরতি নিন।

তাদের যতটা সম্ভব সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দিন। যত বেশি নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে থাকবে, তাদের জন্য তত ভালো। এতে তাদের অসহায়ত্বের অনুভূতি কমে যাবে।

বিকল্পগুলো খুঁজে বের করুন এবং একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করুন। যদি তারা সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম না হন, তবে প্রথমে আপনাকেই নিয়ন্ত্রণ নিতে হতে পারে, তবে লক্ষ্য রাখতে হবে তাদেরকে ধীরে ধীরে আরও স্বাধীন করে তোলা।

তারা যেন আপনার প্রতি অস্বাস্থ্যকর নির্ভরশীলতা তৈরি না করে সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।

তাদের সাথে আলোচনা করুন, তারা কীভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করেন। চাপের মুখে তারা সাধারণত কেমন প্রতিক্রিয়া দেখান? আসল পরিস্থিতি সামলাতে কী তাদের সাহায্য করে?

বর্তমানে তাদের সহায়তা পাবার ব্যবস্থা (পরিবার, বন্ধু, মন্ডলি ইত্যাদি) নিয়ে আলোচনা করুন। এই ব্যবস্থা কীভাবে সাহায্য করছে? আর কী কী সম্পদ বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে (রেড ক্রস, ধর্মভিত্তিক সংগঠন, বা অন্যান্য)?

সতর্ক থাকুন—বর্তমান আঘাত পুরনো আঘাতগুলোকেও (যেমন নির্যাতন, যুদ্ধ-সম্পর্কিত মানসিক ক্ষত, প্রিয়জন হারানো ইত্যাদি) আবার জাগিয়ে তুলতে পারে।

আপনি জিজ্ঞেস করতে পারেন কোন বিষয়গুলো তাদের সুস্থ হতে সাহায্য করতে পারে (একটি স্মরণসভা, বা অন্যদের সাথে মিলিত হয়ে পারস্পরিক সান্ত্বনা পাওয়া)।

মনে রাখবেন, এই ব্যক্তি একজন বেঁচে থাকা মানুষ (survivor), কেবলমাত্র শিকার (victim) নন।

মনোযোগী সময়ে এমন একজন বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তির সাথে একটি আলোচনা সেশন করার চেষ্টা করুন, যিনি আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন। সংকটে থাকা ব্যক্তির সাথে আপনার যে যোগাযোগ হয়েছে তা মূল্যায়ন করতে পারবেন এমন একজনের সাথে আলোচনা করুন।আপনি যা দেখেছেন, শুনেছেন, অনুভব করেছেন এবং অভিজ্ঞতা পেয়েছেন সবকিছু নিয়ে আলোচনা করুন।

আঘাত বা ট্রমার বৈশিষ্ট্যসমূহ

ড. ডি. জে. শোয়ার্টজ বর্ণনা করেছেন একজন মানুষ সংকটের মুখোমুখি হলে কীভাবে অনুভব করে:

হতবুদ্ধি হওয়ার অনুভূতি (দ্বিধা): “এভাবে আমি আগে কখনো অনুভব করিনি।”

বিপদের অনুভূতি: “আমি ভীত বোধ করছি, খারাপ কিছু ঘটতে যাচ্ছে।”

বিভ্রান্তির অনুভূতি: “আমি স্পষ্টভাবে ভাবতে পারছি না, মনে হচ্ছে যেন আমার মস্তিষ্ক আর কাজ করছে না।”

অচলাবস্থার অনুভূতি: “আমার মনে হচ্ছে আমি একদম শেষ প্রান্তে এসে গেছি, আমার আর কোনো বিকল্প নেই।”

হতাশার অনুভূতি: “আমি জানি কিছু একটা করতে হবে, কিন্তু জানি না কী করব।”

উদাসীনতার অনুভূতি: “কিছুই আমাকে সাহায্য করতে পারবে না, তাহলে চেষ্টা করে কী হবে?”

অসহায়ত্বের অনুভূতি: “আমি একা চেষ্টা করতে পারব না, দয়া করে সাহায্য করুন!”

তাৎক্ষণিক প্রয়োজনের অনুভূতি: “আমার এখনই সাহায্য দরকার!”

অসন্তুষ্টির অনুভূতি: “আমি খুবই অখুশি এব আমার মনে খুব কষ্ট।”


আপনার একা লড়াই করার প্রয়োজন নেই। একজন নির্দেশকের সাথে কথা বলুন, এটি গোপন থাকবে।

এই সংগ্রামের সাথে লড়াই করা কঠিন। আপনি যদি নিজের বা অন্যকে ক্ষতি করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে, এটি পড়ুন!

দয়া করে নীচের ফর্মটি পূরণ করুন যাতে আমরা আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারি। উল্লেখিত ফিল্ট ছাড়া বাকি সব ফিল্ডগুলি আবশ্যক।

আপনার লিঙ্গ:
বয়স সীমা:

আপনার জন্য সঠিক মেন্টর নিযুক্ত করার জন্য আপনার লিঙ্গ ও বয়স জানতে চাই। ব্যবহারের শর্তাবলী & গোপনীয়তা নীতি.