সামাজিক হবার চেষ্টা

একাকিত্বের খাঁচায় বন্দি থাকার বহু অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে। আমার জীবনের বেশ কিছু সময় বন্ধু বান্ধব ও পরিবার ছেড়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে থাকতাম। লেখাপড়ার শেষে মনে করেছিলাম কৃষিবিজ্ঞানের শিক্ষা ও পেশা উপভোগ করতে ঘুরে বেড়ানো বেশ রোমাঞ্চকর হবে। কিন্তু খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমার ভিতরে এক ধরণের একাকিত্বের যন্ত্রণা দানা বেঁধে বসে।

আমি খুবই স্বাধীনচেতা মানুষ। এর অর্থ এই নয় যে, আমার জীবনে অন্য কারো দরকার নেই। একা একা রেষ্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়ার অভ্যাস আমার পক্ষে কোনদিন সম্ভব হবে কিনা জানি না। আমি খুব বেশী বাইরে বের হই না, আর রেষ্টুরেন্টে একা একা যাওয়া আমার পক্ষে খুবই কঠিন। খেতে গেলেও সচরাচর মোবাইল ফোনে ব্যস্ততার ভান করি, আর এমন একটি টেবিল বেছে নেই যেখানে আমার সামনে কেউ বসেনি।

শুধুমাত্র যে রেষ্টুরেন্টের ক্ষেত্রেই এমন হয়, তা নয়। আমার এক খুবই ঘনিষ্ট বন্ধু একবার লিখল যে, এয়ারপোর্টে এতো মানুষ থাকলেও তার অসম্ভব একা একা লাগছিল, আর নিজেকে ভীষন বেমানানও লাগছিল। আমারও যে একই অনুভূতি হতো সেই বিষয়টি তাকে বলেছিলাম কিনা মনে নেই। সে বলছিল যে, “আমার আশেপাশে তো অনেক মানুষ, একে অপরের সাথে গল্প করছে, মজা করছে- কিন্তু এখানে আমি একা একা বসে আছি।”

আমার আশেপাশে তো অনেক মানুষ, একে অপরের সাথে গল্প করছে, মজা করছে- কিন্তু এখানে আমি একা একা বসে আছি।

আমার মনে হয় কিছু কিছু একাকিত্ব হয়ত বয়সের কারণে হতে পারে। বয়সের এই পর্যায়ে হয়ত আমার সম্পূর্ণ স্বাধীন থাকবার কথা নয়, তথাপি আলাদা থাকা, একা একা কোথাও যাওয়া, নিজের কাজ নিজে করার যথেষ্ট স্বাধীনতা আমার আছে। কোন কোন সময় মনে হয় যেন আমার হয়ত বেড়ে উঠাটা বেশ আগেভাগে হয়েছে, আর এই কারণেই আমি মাঝখানে পরে হাবুডুবু খাচ্ছি।

আমার অনেক বন্ধু বান্ধব আছে, পরিবার আছে- আর এইদিক থেকে মনে হয় যেন আমি অনেকের চেয়ে বেশী সৌভাগ্যবান। কিন্তু অতীতের দিনগুলোতে যে মানুষগুলোকে ছেড়ে এসেছি তাদের সাথে আমার ঘনিষ্ট সম্পর্কের অভাব অনুভব করতাম। যখন হাইস্কুলে পড়তাম আমার চারপাশে অনেক বন্ধু বান্ধব ছিল, যেখানেই বসতাম কেউ না কেউ কথা বলার জন্য আমার পাশে বসতো। কিন্তু বয়:বৃদ্ধির সাথে সাথে জীবন যখন সামনে এগিয়ে যাচ্ছিল, তাদের সাথে আমার দূরত্বও অনেক বেড়ে যাচ্ছিল। এতে ভিতরে এক ধরণের শুন্যতা তৈরী হচ্ছিল। আর সেই শুন্যতার উপলব্ধিকে কোনকিছু দিয়ে সন্তুষ্ট করতে পারছিলাম না।

আমার জীবনে শুন্যতার যে গভীর গর্ত তৈরী হয়েছিল, মনে হতো যেন সেই গর্ত কেবল মানুষই পূর্ণ করতে পারবে। কিন্তু মানুষের সাথে থাকলে আরও বেশী একাকিত্ব পেয়ে বসতো। আর এই একাকিত্বের যন্ত্রনা এতটাই কষ্ট দিতো যে, সবসময় মনে হতো যে জীবন অর্থহীন। কোন কিছতেই তৃপ্তি পেতাম না, বিষন্নতায় মন ভেঙ্গে যেতো। কোন কোন সময় আত্ম-হত্যার চিন্তাও মাথায় আসতো। আমি এর কোনই সমাধান খুঁজে পাচ্ছিলাম না।

জীবনের আরও অনেকগুলো কঠিন ও বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতার সেতু পার হলে পর আমি বুঝতে পারলাম যে, আমার এই শুন্যতা মানুষ পূর্ণ করতে পারবে না। আর এই উপলব্ধি যে সঙ্গে সঙ্গেই আমাকে পূর্ণতার তৃপ্তি দিয়েছে তা নয়, বরং আমি এখনও একাকিত্ব অনুভব করি এবং গভীর সম্পর্কের জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকি। তবে আমি আবিস্কার করলাম যে, আমার উপলব্ধি যাই হোক না কেন আমি একা নই। আমি আর একা নই- এই চেতনা আমাকে একাকিত্বের কষ্ট থেকে সরে আসতে সাহায্য করল। আপনিও যদি সেই একাকিত্বের বাহুডোরে আবদ্ধ থাকেন, তবে নীচে আপনার যোগাযোগের তথ্য লিখুন এবং শীঘ্রই আমাদের সহকর্মীদের কেউ একজন আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। আপনার পাশে থেকে আমরা সেই একাকিত্বের কষ্টকে মোকাবেলা করব।


আপনার একা লড়াই করার প্রয়োজন নেই। একজন নির্দেশকের সাথে কথা বলুন, এটি গোপন থাকবে।

এই সংগ্রামের সাথে লড়াই করা কঠিন। আপনি যদি নিজের বা অন্যকে ক্ষতি করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে, এটি পড়ুন!

দয়া করে নীচের ফর্মটি পূরণ করুন যাতে আমরা আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারি। উল্লেখিত ফিল্ট ছাড়া বাকি সব ফিল্ডগুলি আবশ্যক।

আপনার লিঙ্গ:
বয়স সীমা:

আপনার জন্য সঠিক মেন্টর নিযুক্ত করার জন্য আপনার লিঙ্গ ও বয়স জানতে চাই। ব্যবহারের শর্তাবলী & গোপনীয়তা নীতি.