কোন দুঃখ কষ্টেই সুখ থাকেনা
মাত্র ১৩ বছর বয়সেই আমার পর্ণোগ্রাফী সম্পর্কে প্রথম পরিচয় হয়। স্কুলের কোন এক শিক্ষা ভ্রমনে গেলে আমার রুমের এক বন্ধু তার ব্যাগ থেকে বেশকিছু পর্ণোগ্রাফীর পত্রিকা বের করলে পর ওগুলো দেখে আমি প্রচন্ড ধাক্কা খাই। ইন্টারনেট আসার আগের ঘটনা। অবাক হতে দেখে আমার বন্ধুটি বলল যে, তার বাবা-মা এই বিষয়ে কিছু বলে না, তারা মনে করে যে, একদিন তো আমাকে এই বিষয়ে শিখতেই হবে। আমিও এতে প্রচন্ডভাবে উৎসাহিত হলাম। শিক্ষা ভ্রমনের কয়েকদিনের মধ্যেই ঐ পত্রিকার ছবিগুলো আমার মনের পর্দায় ভীষনভাবে উত্তেজনা তৈরী করে।
এই ঘটনার পর বেশীদিন হয়নি আমাদের এলাকায় টিভি চ্যানেলে শুক্রবার ও শনিবার গভীর রাতে হালকা পর্ণো মুভি দেখানো শুরু করল। আমি বাসায় আগে আগেই ঘুমাতে যাবার ভান করছিলাম, কিন্তু সবাই ঘুমিয়ে গেলে পর গভীর রাতে উঠে গোপনে টিভি রুমে গিয়ে যতক্ষন মুভি চলে দেখতাম। আর আমার কৈশর বয়সের বেশকিছু বছর এভাবেই সাপ্তাহিক দিনগুলোতে পর্ণো মুভি দেখতে থাকলাম। এতে আমার মনের পর্দায় পর্ণো মুভির ছবি ও দৃশ্যগুলো সবসময় ভেসে উঠত। এমন অবস্থা হলো যে, আমার কৈশর বয়সের একেবারে প্রায় প্রথম থেকেই এমন কোন রাত ছিল না যে আমি হস্তমৈথুন বা মাষ্টারবেট করে ঘুমাতে যেতাম না। বিষয়টি প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত হলো, যা বহু বছর যাবৎ চলতে থাকল।
মানুষ জানলে কি ভাববে এই চিন্তায় আমি সবসময় শংকিত থাকতাম
আমার ২০ বছর বয়সের গোড়ার দিকেই ইন্টারনেট চারিদিকে ছড়িয়ে পরে। নতুন এই প্রযুক্তির বদৌলতে তৎক্ষনাৎ বিভিন্ন ধরণের পর্ণোগ্রাফীর সাইট গুলোতে চলে যাওয়া যেত বলে আমিও তৎকালীন যতরকম বিকৃত যৌনাচারের আরও নতুন নতুন দিকগুলো ছিল সেইগুলোতে দ্রুত আসক্ত হয়ে পরি। যদিও আমি প্রায়ই এই আসক্তি থেকে একেবারেই বের হয়ে যাবার জন্য নিজের সঙ্গে প্রতিজ্ঞা করতাম, কিন্তু প্রতিজ্ঞা রাখতাম না। আমার কাছে মনে হতো আমাকে টেনে হিচড়ে নিয়ে যাচ্ছে, যেখান থেকে বের হওয়া অসম্ভব, আর ভাবতে থাকলাম এই পর্ণোগ্রাফী দেখা, হস্তমৈথুন অভ্যাস, অপরাধবোধ এবং নিজের সাথে নিজের প্রতিজ্ঞার ঘূর্ণীপাক থেকে কিভাবে বের হয়ে আসবো। সবাই ভাবত আমি খুবই ভাল মানুষ এবং আমি যে ধর্মীয় সংগঠনের সঙেগ জড়িত ছিলাম, তারা অনেকেই মনে করতো যে আমি সেই সংগঠনের পরবর্তি নেতা হতে পারি। কিন্তু আমি তো জানতাম আমার মনের অন্ধকার দিকগুলো, যা প্রতিদিন গোপনে লুকিয়ে রাখতাম। যদি মানুষ আমার গোপন কুৎসিত দিকগুলো জানতে পারে তবে তারা কি ভাববে তা নিয়ে শংকিত থাকতাম। আমি ভাবলাম যে হয়ত বিয়ে করলে সেই সমস্যার বেড়াজাল থেকে বের হতে পারব, কিন্তু বিবাহিত জীবনেও আমার পর্ণোগ্রাফীর ও হস্তমৈথুনের নেশা চলতে থাকে।
আমার মধ্যে এই প্রথম একটি উপলব্ধির উদয় হলো যে, যৌনক্ষুধা, রূপ-লাবন্যতা বা যৌনাচার বা সুন্দরী নারী আমাকে আসক্ত করছে তা নয়, বরং আমি নিজেই এর জন্য দায়ী। সম্ভবত এই উপলব্ধিটিই আমার মন-যুদ্ধের অবসান ঘটাতে আসল ভূমিকা রেখেছিল। আমি আসলে গ্রহনযোগ্যতা চাইছিলাম, আমার প্রতি প্রশংসা ও সম্মান চাইছিলাম, ভালবাসা চাইছিলাম এবং ক্ষমতা বা প্রভাব চাইছিলাম, আর ঐগুলোর প্রতিই ছিল আমার তীব্র বাসনা। যৌনাচার ও পর্ণোগ্রাফী আমাকে শক্ত করে আকরিয়ে ধরে রাখবার মূল কারণ ছিল, ঐ সকল আসক্তি আমাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছিল যে, আমি যে কত তেজবান সু-পুরুষ তা পৃথিবীর কেউ না বুঝলেও আমার কল্পনার ঐ সব আকর্ষনীয় ও রূপে লাবন্যময়ী নারীরা কিছুটা হলেও বুঝে এবং আমাকে ভালবাসে এবং আমাকে পেতে চাইত। যৌনক্ষুধা ছিল আমার মনজগতের একটি অভ্যাস, আর সেই নেশা থেকে মুক্তি পাবার জন্য ঐ অভ্যাসগুলোর বেড়াজাল প্রথমে ছিড়ে ফেলতে হবে। আমাকে স্বজ্ঞানেই কুৎসিত যৌনাচারের মিথ্যের সাথে সত্যের মল্লযুদ্ধ চালিয়ে যেতে হয়েছিল, যতক্ষন আমি ঐ আসক্তির দাসত্ব বন্ধন থেকে বের না হয়েছিলাম।
চিরদিনের জন্য স্থায়ীভাবে এই অভ্যাস থেকে বের হয়ে আসবার জন্য আমার প্রতি আমার স্ত্রীর ভালবাসাই ছিল শেষ প্রেরণা।
পর্ণোগ্রাফীকে পরাজিত করবার মূল উপাদান ছিল ভাল সঙ্গ বা বন্ধত্বু। আমার কিছু ভাল বন্ধু ছিল যাদের আমি বিশ্বাস করতাম, যাদের সাথে মন খুলে কথা বলতাম, যারা বারবার একই ভুল করলেও আমার জন্য প্রার্থনা করতো। পর্ণোগ্রাফী ও মাংসিক লোভকে জয় করবার শেষ উৎস ছিল আমার একমাত্র সঙ্গি আমার স্ত্রী, যার সাথে আমার সমস্ত কঠিন সময় গুলো খুলে বলেছিলাম। আর কখনও ঐ অভ্যাসে ফিরে যাব না তার কাছে এই প্রতিজ্ঞা করলাম। আমি ভেবেছিলাম যে, সে হয়ত সব শুনে ভেঙ্গে পরবে ও প্রচন্ড রাগ করবে। কিন্তু আমার এই স্বীকারোক্তি তাকে গভীরভাবে দু:খ দিলেও সে প্রতিজ্ঞা করল যে, সে সবসময় আমার পাশে থাকবে, উৎসাহ দেবে এবং প্রার্থনা করবে। তবে পর্ণোগ্রাফীর শক্ত দেয়াল আমার জীবন থেকে আগেই ভেঙ্গে গেছে যে মূহুর্তে আমি তার কাছে সবকিছু স্বীকার করলাম। আর ঐ সব কু-অভ্যাস থেকে বের হবার জন্য আমার স্ত্রীর ভালবাসাই ছিল আমার শেষ প্রেরণা। আমার আর কখনও গোপন রাখবার কিছু থাকল না। তার সাথে আমি আর কখনই অবিশ্বস্ত ছিলাম না, এমনকি আমার চিন্তাতেও।
বহু বছর যাবৎ এই যৌনাচারে মল্লযুদ্ধ করলেও আমি এখন মুক্ত হতে পেরে প্রচন্ড খুশী। আমি জানি যে, পর্ণোগ্রাফী জাগতিক সব বিনোদনের আশ্বাস দিতে পারে ঠিকই, কিন্তু এর পরিণতি হয় ভয়াবহ। তবে এই মুক্তি রাতারাতি হয় না। মুক্ত হতে সময় লাগে। এই বেড়াজাল থেকে বের হয়ে আসতে আমার ১০ বছর সময় লেগেছিল।
এখন আমার আর সেই দূর্বিষহ যন্ত্রনা নেই। আমি এখন মুক্ত এবং সুখি। আমি আপনাকে মুক্তির এই পথে পথ চলতে আহ্বান করছি। আপনাকে আর একা একা এই যুদ্ধ করতে হবে না। বিনা মূল্যে আপনার সমস্ত তথ্য গোপন রেখে আমাদের বিশ্বস্ত পরামর্শদানকারীরা (মেন্টোর) আপনার কথা শুনবে ও পাশে থাকবে। আপনি যদি আপনার সমস্ত তথ্য নীচের ঘর গুলোতে লিখে পাঠান তবে আপনি শীঘ্রই আমাদের কোন একজন পরার্মশদাতার কাছ থেকে উত্তর পাবেন।
#####লেখকের নাম গোপনার্থে বদল করা হয়েছে
আপনার একা লড়াই করার প্রয়োজন নেই। একজন নির্দেশকের সাথে কথা বলুন, এটি গোপন থাকবে।
এই সংগ্রামের সাথে লড়াই করা কঠিন। আপনি যদি নিজের বা অন্যকে ক্ষতি করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে, এটি পড়ুন!
দয়া করে নীচের ফর্মটি পূরণ করুন যাতে আমরা আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারি। উল্লেখিত ফিল্ট ছাড়া বাকি সব ফিল্ডগুলি আবশ্যক।