সত্য আর মিথ্যার গল্প

গল্পকার : একদিন সত্য আর মিথ্যা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল।

সত্য : আরে মিথ্যা না..! কেমন আছো ?

মিথ্যা : আরে তুমি ! এইতো ভালই আছি আরকি। তোমার দিনকাল কেমন যাচ্ছে?

সত্য : আসলে…তেমন ভালো না ভাই। কঠিন সময় পার হচ্ছি।

মিথ্যা : তোমাকে দেখে তো তাই…ই মনে হচ্ছে। তোমার কাপড়-চোপড়ের যে বেহাল অবস্থা। তোমার শরীরও অনেক খারাপ হয়ে গেছে!! খাওয়া দাওয়া করো না নাকি?

সত্য : আসলে……, তুমি ঠিকই ধরেছো! কেউ আমাকে কাজ দিতে চায় না। যেখানেই যাই, সবাই আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করে, মিশতে চায় না। সবসময় মন খারাপ থাকে। জানি না আর কতদিন এইসব সহ্য হবে।

মিথ্যা : এই হয় রে ভাই! আমার সঙ্গে চলো, আমি তোমাকে দেখাবো কিভাবে সবার সাথে মিশতে হয়, মিলেমিশে থাকতে হয়। আর না খেয়ে থাকতে হবে না, আমার মত দামীদামি কাপড়ও পরতে পারবে। কিন্তু আমাকে কথা দিতে হবে যতক্ষণ আমার সাথে থাকবে আমার ব্যাপারে কাউকে খারাপ কথা বলতে পারবে না।

সত্যি : ঠিক আছে……… কথা দিচ্ছি।…..জানো, ভীষণ ক্ষিদে পেয়েছে !!!

মিথ্যা : চলো…. তোমাকে একটা দামী রেষ্টুরেন্টে নিয়ে যাবো।

গল্পকার : রেষ্টুরেন্টে ঢুকে তারা ভাল একটা টেবিল বেছে নিয়ে বসল।

মিথ্যা : ওয়েটার, তোমাদের সবচেয়ে ভাল খাবারগুলো নিয়ে আসো, সাথে মিষ্টিও নিয়ে আসো।

গল্পকার : পেট ভরে তারা খেল।

মিথ্যা : ম্যানেজার! জলদি এখানে আসেন তো!

ম্যানেজার : জ্বী, স্যার…..বলেন।

মিথ্যা : ব্যাপারটা কি বলেন তো…….., এক ঘন্টা আগে ঐ ওয়েটারকে আমি টাকা দিলাম কিন্তু আমাকে এখনো বাঁকী টাকাটা ফেরৎ দিল না কেন?

গল্পকার : রেষ্টুরেন্ট ম্যানেজার ওয়েটারের সাথে কথা বলছেন।

ওয়েটার : ভাই, আমি সত্যি বলছি উনি আমাকে এক টাকাও দেননি!

গল্পকার : ম্যানেজার মিথ্যাকে এসে ওয়েটারের কথাটা বললেন।

মিথ্যা : কি? আমি এক টাকাও দেইনি ?

ম্যানেজার : প্লিজ স্যার, একটু শান্ত হন।

মিথ্যা : আমি চাইছিলাম সবার কাছে আপনাদের রেষ্টুরেন্টের প্রসংশা করব। সবাই জানুক যে এটা একটা চমৎকার জায়গা! আমার মত ভদ্র লোকেরা এখানে খেতে আসে, আর আপনারা কিনা টাকা নিয়ে বলেন আপনারা নেননি! এই টাকা উপার্জন করতে আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে, বুঝলেন!! আপনারা টাকা নিয়ে মিথ্যা বলেন। আপনারা আমাকে ধোঁকা দিলেন, আমি আর এখানে আসবো না! এইযে টাকা নেন, বাঁকী টাকা নিয়ে আসেন, প্লিজ।

ম্যানেজার : প্লিজ স্যার, আমি আপনার কাছ থেকে আর টাকা নিতে পারবো না। আপনি ওয়েটারকে যে টাকাটা দিয়েছিলেন ওটার বাঁকী টাকাটা আমি নিয়ে আসছি।

গল্পকার : ম্যানেজার মিথ্যাকে টাকা দিয়ে ওয়েটারের সাথে কথা বলতে গেলেন।

ম্যানেজার : তুমি ওনার টাকা চুরি করেছ, তাই না ! তুমি আমাকে কি ঝামেলায় ফেললে, দেখ তো !

ওয়েটার : কিন্তু, ভাই ......

ম্যানেজার : তোমাকে এই মুহূর্তে বরখাস্ত করলাম !

ওয়েটার : কিন্তু ... ভাই , উনি মিথ্যা বলছেন। উনি আমাকে কোন টাকাই দেননি!

ম্যানেজার : আমি তোমাকে বিশ্বাস করি না।

ওয়েটার : সত্য ভাই, আপনি তো জানেন, আপনি কেন চুপ করে আছেন? প্লিজ … আমাকে এই বিপদ থেকে বাঁচান।

গল্পকার : উত্তরে সত্য বললেন।

সত্য : আমার কিছু বলার নাই, ভাই। ক্ষুধার জ্বালা যে কি আমি জানি………আমি মিথ্যার সঙ্গে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করতে পারবো না।

মিথ্যা : সত্য, তুমি কি এখন বুঝতে পারছো- পৃথিবীতে কিভাবে চলতে হয়? অভিনয়টা ভালই করলাম, কি বল, তাই না?

সত্য : আসলে …… না খেয়ে থাকব, কিন্তু এভাবে…খাব না।

গল্পকার : এরপর সত্য, মিথ্যার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ভিন্ন পথে চলে গেল, আর কখনো তার সাথে সম্পর্ক রাখলো না।


আপনার একা লড়াই করার প্রয়োজন নেই। একজন নির্দেশকের সাথে কথা বলুন, এটি গোপন থাকবে।

এই সংগ্রামের সাথে লড়াই করা কঠিন। আপনি যদি নিজের বা অন্যকে ক্ষতি করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে, এটি পড়ুন!

দয়া করে নীচের ফর্মটি পূরণ করুন যাতে আমরা আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারি। উল্লেখিত ফিল্ট ছাড়া বাকি সব ফিল্ডগুলি আবশ্যক।

আপনার লিঙ্গ:
বয়স সীমা:

আপনার জন্য সঠিক মেন্টর নিযুক্ত করার জন্য আপনার লিঙ্গ ও বয়স জানতে চাই। ব্যবহারের শর্তাবলী & গোপনীয়তা নীতি.